বরিশাল থেকে ফিরে এম, এস, এ রেজা ( শুভ্র শাওন): বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী যাকজমক পূর্ণভাবে উদ্যাপন করা হবে। সুর্বণজয়ন্তী উপলক্ষে ১১ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশ করবে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। এ সমাবেশে ১০ লক্ষাধিক যুবদের উপস্থিতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে, যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুব মহাসমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য পাল্টাপাল্টি প্রস্তুতি নিয়েছে বরিশাল যুবলীগ। দুই গ্রুপে বিভক্তি হয়ে বরিশাল থেকে প্রায় ২৭ হাজার লোক কেন্দ্রীয় যুব সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে বলে দাবি করা হয়েছে।।যার মধ্যে বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নেতৃত্বে ২৫ হাজার নেতাকর্মী ১০টি লঞ্চে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় যাত্রা করবেন।
এদিকে, যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুব মহাসমাবেশের কারণে বরিশাল থেকে দুদিন আগে থেকেই বেশিরভাগ লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রতিদিন ৩-৪ করে লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেলেও বুধবার বরিশাল নদী বন্দর থেকে ছেড়ে গেছে একটি মাত্র লঞ্চ। এর ফলে যাত্রীদের পড়তে হয়েছে ভোগান্তিতে।
এছাড়া বুধবারের ন্যায় বৃহস্পতিবারও একটিমাত্র লঞ্চ বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. কবির হোসেন।
সম্মেলনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সুমন সেরনিয়াবাত বলেন, ‘যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা বরিশাল থেকে সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় যুব সমাবেশে অংশগ্রহণ করবো।
কেন্দ্রীয় যুব মহাসমাবেশে বরিশাল থেকে ২৫ হাজার লোক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নেতৃত্বে ১০টি লঞ্চে ঢাকায় যাবেন। বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল নদী বন্দর থেকে একযোগে লঞ্চগুলো ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘বরিশাল থেকে যুব মহাসমাবেশের উদ্দেশে যারা যাবেন তাদের থাকা এবং খাবারের ব্যবস্থা মেয়র মহোদয় করেছেন।
অপরদিকে, বরিশাল মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহামুদুল হক খান মামুন বলেন, ‘যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুব মহাসমাবেশে আমরা পৃথকভাবে অংশগ্রহণ করবো। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে দুই হাজারের মতো নেতাকর্মী নিয়ে মহাসমাবেশে যোগদান করবো। তবে সড়ক পথে না-কি নৌপথে যাবো সেটা এখনো নিশ্চিত হয়নি। বুধবার রাতের মধ্যেই এ বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এজন্য আমি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছি।
এদিকে, বরিশাল নদী বন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা যেই লঞ্চে ঢাকায় যাবেন সেসব লঞ্চের সাজসজ্জা করা হচ্ছে। লঞ্চগুলো রিজার্ব করায় বুধবার রাতে বরিশাল নদী বন্দর থেকে শুধুমাত্র এমভি পারাবত-১২ লঞ্চটি ঢাকার ছেড়ে যায়।
লঞ্চ মালিকদের বরাত দিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশাল নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. কবির হোসেন বলেন, ‘বরিশাল নদী বন্দরে বুধবার পাঁচটি লঞ্চ বার্দিং করা ছিলো। এরমধ্যে পারাবত-১২ লঞ্চটি বুধবার যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। তাছাড়া এ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি ঢাকায় যুবলীগের মহাসম্মেলনের যাত্রী বহনের জন্য ঝালকাঠি গেছে। ঝালকাঠি থেকে বৃহস্পতিবার নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
এছাড়া বৃহস্পতিবার বরিশাল থেকে সুরভী-৭ লঞ্চটি বরিশাল থেকে সাধারণ যাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। এর বাইরে বৃহস্পতিবার যে লঞ্চগুলো ঢাকা থেকে বরিশালে আসবে সেগুলো সবই রাতে মহাসমাবেশের যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাবে বলে জানান, বিআইডব্লিউটিএ’র এই কর্মকর্তা।