ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি (পাবনা) :
গোলাম মোস্তফা
পাবনা ভাঙ্গুড়া থানার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের জোঁকা গ্রামের ১। মোঃ নুরুল ইসলাম (৪৫) ২। মোঃ মুন্নাফ হোসেন (৩৫) উভয় পিতা মোঃ মসলেম উদ্দিন ৩। মোঃ শরিফ হোসেন (২০) পিতা মোঃ মুন্নাফ হোসেন ৪। মোঃ মনিরুল ইসলাম, পিতা মোঃ বেলাল মাষ্টার সহ আরও অনেকে জোর পূর্বক মোঃ শাহিনুর পিতা মোঃ আনছার আলী এর বসতবাড়ির ১২/১১/২০২২ ইং সময় আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকায় রাস্তার উপর বেড়া দিতে আসে। এ সময় মোঃ শাহিনুর গ্রামের প্রধান ব্যক্তি বর্গকে ডাক দিলে কিছু প্রধানবর্গ বেড়া দিতে নিষেধ করেন। এক সময় প্রধানবর্গের সামনে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক বিতোন্ডা হয় এবং হাতা হাতি হওয়ার এক পর্যায় শাহিনুর এর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা চালায় কিন্তু ঘটনাক্রমে তার গৃহ বধূর মাথায় আঘাত লাগে। সেখান থেকে গ্রাম বাসীরা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সরেজমিনে গ্রামবাসী ও প্রধান ব্যাক্তিবর্গের মাধ্যমে আরও জানা যায় ইতি পূর্বে এরা বিভিন্ন অপকর্মের দূর্নীতি, জালিয়াতির সাথে জড়িত ছিলেন। যা খুব ন্যাক্কার জনক তার মধ্যে অন্যতম ২০১৯ সালের শেষের দিকে বাশবাড়ীয়া, লামকান (চলনবিল) এলাকার হাসের খামার থেকে আনুমানিক ৫০০টি হাস চুরি করে সাতবাড়ীয়া রোডের উপর ট্রাকে তোলার সময় জনতার কাছে ধরা পড়ে। আরও জানা যায় বেলাল হাজির ছেলে (মনি) উল্লাপাড়া (উধুনিয়া হাটে) জাল নোটের ব্যবসা করার কারণে জনতার হাতে ধরা পড়েন। যা উল্লাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করে স্থানীয় জনতা। আরও জানা যায় বর্তমানে বেলাল হাজি বিশেষ কারনে টাকার প্রয়োজন হলে আনছার আলীর কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার (৫০,০০০) টাকা বাবদ জমি কট (বন্ধক) রাখেন। সেই জমি বর্তমানে দখল করার জন্য নুরুলের সাথে একত্র হয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এতে গ্রামের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্ন হচ্ছে। এমতাবস্থায় শাহিন ও তার বাবা গ্রামের প্রধানবর্গের পরামর্শে তাদের জান মালের নিরাপত্তার জন্য থানার আশ্রয় নেয়।