রকিব হাসান
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরে প্রথমবারের মতো চলছে আন্তর্জাতিক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। দুই শতাধিক দেশী-বিদেশীর শিল্পীর আঁকা কয়েকশ’ ছবি ঠাই পেয়েছে প্রদর্শনীতে। যা দেখতে ভীড় করছে বিভিন্ন জেলার দর্শনার্থীরা। ইতিহাস এতিহ্য ধরে রাখার পাশাপাশি জেলার সুনাম বাড়াতে এই আয়োজন, বলছে আয়োজকরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, করোনা ভাইরাস ও তার প্রতিকারসহ নানা চিত্র দেখতে দর্শনার্থীদের ভীড়। প্রায়ত চিত্রশিল্পী কাজী আনোয়ার হোসেন নামে মাদারীপুর শহরের লেকের দক্ষিনপাড়ে ‘মুক্তিযোদ্ধা অডিটোরিয়াম’ শুরু হয়েছে সাতদিনের আন্তর্জাতিক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রথমবারের মতো এই প্রদর্শনী মুগ্ধ করেছে দর্শনার্থীদের। বিভিন্ন গ্যালারিতে আড়াইশ এর বেশি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে, এর মধ্যে ৫০ জন বিদেশি শিল্পীর চিত্রকর্ম রয়েছে। কয়েকজন দেশি শিল্পীর ভাষ্কর্যও রয়েছে। বিকেলের পর থেকে প্রতিদিন মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়তে থাকে দর্শনার্থীর সংখ্যা। জেলার বাইরেও পাশের শরিয়তপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ থেকেও শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সের মানুষের পদচারনায় মুখর প্রদর্শনী প্রাঙ্গন। বছরের বিশেষ দিনে এই আয়োজন করার আহবান দর্শনার্থীদের। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য শাজাহান খান। যা চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত। ২শ,১০ জন দেশী-বিদেশী চিত্রশিল্পীর নিপুন হাতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্যসহ সংস্কৃতির নানা নিদর্শণ। এর থেকে সবার মাঝে জ্ঞানের ছড়িয়ে পড়বে বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের।
চিত্র প্রদর্শনী দেখতে আসা আল শাহরিয়াত করিম বলেন, সত্যিই এমন প্রদর্শনী মুগ্ধ করেছে। জেলা শহরে এমন অনুষ্ঠান প্রথম হওয়ায় দারুণ খুশি।
মিঠু আকন নামে আরেক দর্শনার্থী বলেন, শরিয়তপুর জেলা থেকে এই প্রদর্শনীর খবর শুনে দেখতে এসেছি। এখানে এসে অনেক কিছুই শেখার আছে। প্রতিটি ছবি আলাদা আলাদা জ্ঞান ছড়িয়েছে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি যারা এতো সুন্দর আয়োজন করেছেন।
চিত্রশিল্পী কাজী আনোয়ার হোসেন সমাজ কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও প্রায়ত কাজী আনোয়ার হোসেনের ছেলে অপু কাজী জানান, ইতিহাস ও এতিহ্য ধরে রাখার পাশাপাশি জেলার সুনাম বাড়াতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করছি প্রতিবছর এই আয়োজন করতে পারবো।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, জেলাবাসীর মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন করা হয়েছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষ এই আয়োজন উপভোগ করতে পেরেছে।