মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:
প্রায় এক বছর আগে বরিশালে এক অনুষ্ঠানে বসে স্কুল শিক্ষক মোঃ মহিবুল্লাহ সুমনের সঙ্গে ঝালকাঠী সদর উপজেলার এক যুবতীর পরিচয় হয়। তারা দুজনেই এল এল বি’তে অধ্যয়নরত এবং ব্যাচমেট। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং ঐ ভুক্তভোগী নারীকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়।তার মিথ্যা কথার ফাঁদে পা দিলে, বিভিন্ন ধরনের কৌশলে অবলম্বন করে মোঃ মহিবুল্লা সুমন ঐ নারীর সঙ্গে একাধিকবার তারা শাররীক সম্পর্কেও লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে মোঃ মহিবুল্লা সুমন কে ওই যুবতী বিয়ের জন্য চাপ দিলে মোঃ মহিবুল্লা সুমন যুবতীর সঙ্গে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়।
তাই নিরুপায় হয়ে ঐ যুবতী মোঃ মহিবুল্লা সুমনের বাড়িতে অবস্থান নেয় । বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই যুবতী সমুনের বাড়িতে রয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব হাজিপুর গ্রামে।
বর্তমানে স্কুল শিক্ষক মোঃ মহিবুল্লা সুমন পলাতক রয়েছে।
মোঃ মহিব্বুল্লাহ সুমন কলাপাড়া উপজেলার ৫ নং নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আক্কেলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেন।
ওই যুবতী জানায়, সুমন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে একাধিকবার শাররীক সম্পর্কে জড়িয়েছে। পরে আমি তাকে বিয়ের জন্য বলি। কিন্তু সে বিভিন্ন তালবাহানা করে। পরবর্তীতে আমি তার বাড়িতে অবস্থান নেয়ার পর সে আমাকে ফোন দিয়ে বরিশাল যেতে বলে। আমি তার কথায় রাজি হইনি। আমাকে সুমন এবং তার পরিবার, মেনে না নিলে আমি আত্মহত্যা করবো।
শিক্ষক সুমনের পিতা,মোঃ বাশার সিকদার জানান, এই মেয়ে আমাদের বাড়িতে আসার পরই আমার ছেলেকে খুজে পাচ্ছিনা। এখন এই মেয়েকে নিয়ে আমরা নিজেরাই সমস্যায় ভুগছি।
কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দিন ,জানান বিষয়টি আমি জেনেছি। এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এঘটনা আমি কিছু আগে আপনাদর সাংবাদিকদের কাছ থেকেই শুনলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।