এম,এস,এ রেজা :
বিরোধীদের বর্জনের মধ্যে একতরফা নির্বাচনে রোববার রাতে ফলাফল প্রকাশ শুরু হওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে হেভিওয়েট প্রার্থীদের পরাজয়ের বেশ কিছু ঘটনা চমক সৃষ্টি করেছে।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও উল্লেখযোগ্য জাতীয় পর্যায়ের নেতাদের অনেকেই পরাজিত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, তাঁদের বিপক্ষে কমপক্ষে ৬১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
একই সময়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগ অন্তত ২২২টি আসনে জয় পেয়েছে, যা সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনের চেয়ে বেশি।
সমঝোতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন ছেড়ে দিলেও প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ১১টিতে জিততে পেরেছেন জাপার প্রার্থীরা। এর ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কমল। বর্তমানে দলটির ২৩ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্য রয়েছেন।
স্বতন্ত্র হিসেবে বিজয়ীদের প্রায় সবাই ক্ষমতাসীন দলের নেতা হলেও দলটির মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধেই তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচনে বিরোধী দল বিএনপি ও সমমনা দলগুলো অংশ না নেওয়ায় রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে নিজ দলের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ দেয় আওয়ামী লীগ।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর কোনো ধরনের বিজয় মিছিল না করার এবং অন্য প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কলহে না জড়াতে রোববার রাতে সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
১৯৯৬ সালে এক মেয়াদ এবং ২০০৮ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদসহ মোট চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা।