মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:
বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক ও কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি দক্ষিনবাংলার মাটি ও মানুষের নেতা জননেতা আলহাজ্ব এবিএম মোশাররফ হোসেনকে কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী অংগ সংগঠনের উদ্যোগে এ সম্বর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীর ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন।
তিনি বলেছেন,শালিশ বানিজ্য, চাঁদাবাজি, দোকানে তালা এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী ও আইন বহির্ভূত কোন অপরাধমূলজ কাজ করলে অপরাধী সে যেই হোক, যত বড় শক্তিশালীই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে ১১০ জনের তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন’বিএনপি’ ও সকাল সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে।
বাংলাদেশের মানুষকে মোকাবেলা করার ক্ষমতা শেখ হাসিনার নাই, যার কারনে তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর পর আপনাদের সামনে জনসভা করার সুযোগ পেয়েছি,আমাদের কথা বলার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। হাসিনা সরকার দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পাচার করেছে,ওরা আমাদের নেতা কর্মীদের একেক জনের নামে ৩০০/ ৪০০ করে মামলা দিয়েছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছে, তার বিচার বাংলার মাটিতে হবেই।
গতকাল ১লা সেপ্টম্বর রবিবার বিকেলে বিএনপি ও সহযোগী অংগ সংগঠনের আয়োজিত গন- সংবর্ধনা প্রেসক্লাব সংলগ্ন বালুর মাঠে আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদারের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশ সরকার কুট্টি, সদস্য মোস্তাক আহম্মেদ পিনু, কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু, কুয়াকাটা বিএনপি’র সভাপতি মোঃআজিজ মুসুল্লী, মহিপুর বিএনপির সভাপতি আবদুল জলিল হাওলাদার, রাংগাবালী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আবদুর রহমান ফরাজী, বিএনপি নেতা গাজী মোঃফারুক, মোঃমুসা তাওহীদ নান্নু মুন্সী, এ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির সহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
সভাস্থলে দুপুর ১২ টা থেকে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামতে শুরু করে। এ জনসভাকে এলাকায় স্মরনকালের সবচেয়ে বড় জনসভা বলেও উপস্থিত অনেকে উল্লেখ করেন।